স্মৃতিচিহ্ন কবিতার প্রশ্ন উত্তর || স্মৃতিচিহ্ন কামিনী রায় প্রশ্ন উত্তর ||
স্মৃতিচিহ্ন
কামিনী রায়
স্মৃতিচিহ্ন কবিতার উৎস, বিষয়বস্তু, নামকরণ এবং অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হয়েছে।
উৎস
কামিনী রায়ের ‘স্মৃতিচিহ্ন’ কবিতাটি তাঁর ‘নির্মাল্য’ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে ।
স্মৃতিচিহ্ন কবিতার বিষয়বস্তু:
বিষয়সংক্ষেপ
একদল ক্ষমতাদর্পী মানুষ নিজেদের নাম বহু অর্থনির্মিত স্মৃতিসৌধের গায়ে খোদাই করে চিরকাল অমর হয়ে থাকবে আশা করেছিল। কালান্তরেও সেই নাম মুছে যাবে না, এই ছিল তাদের বিশ্বাস। কবির ভাষায় তারা মূর্খ, তাদের মনস্কামনা ব্যর্থ ।
আসলে বস্তুর বিনাশ একদিন হবেই, পাথর খসে পড়বে ভূমিতে, ভেঙে পড়বে অট্টালিকা। সেই ভগ্নস্তুপে চাপা পড়বে স্মৃতিসৌধ।
শুষ্ক তৃণের মতো কালস্রোতে ভেসে যাবে নামগুলি, কেউ রক্ষা করতে পারবে না। কিন্তু যারা মানবহৃদয় সিংহাসন অধিকার করেছেন, পরহিতব্রতে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন তারা কালান্তরেও চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
এই সমস্ত দরিদ্র মানুষগুলির ছিল না কোনো সম্বল, ছিল না ইট-পাথর সংগ্রহ করার মতো ক্ষমতা। অথচ তাদের রাজত্বই অক্ষুণ্ণ হয়েছে কালের নিয়মে—কালস্রোতে ধৌত হয়ে সেই নাম চিরকালের জন্য অমর হয়ে থাকবে।
নামকরণ
গল্প, কবিতা, নাটক সব কিছুর ক্ষেত্রেই নামকরণের একটি বিশেষ ভূমিকা আছে। নামকরণ থেকেই পাঠক বিষয় সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করে। কবিতার ক্ষেত্রে নামকরণ বিশেষ ইঙ্গিতবাহী।
‘স্মৃতি’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ স্মরণ, আর ‘চিহ্ন’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ রেখা বা দাগ। এই দুয়ের সংযোগে ‘স্মৃতিচিহ্ন’ বলতে বোঝায় এমন স্মারক বা নিদর্শন, যার সাহায্যে কোনো ব্যক্তি বা সময়কে স্মরণীয় করে রাখা যায়।
কামিনী রায় রচিত ‘স্মৃতিচিহ্ন ’ কবিতায় কবি কোনো ইট-পাথর-কংক্রিটের তৈরি স্মৃতিচিহ্নের কথা বলেননি বরং তার এই ‘স্মৃতিচিহ্ন’ কথাটি ব্যঞ্জনাময় হয়ে উঠে এই সমস্ত মানুষদের তৈরি করা স্থায়ী স্মৃতিচিহ্নের প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছে যারা নিজেদের মহান কাজের মাধ্যমে মানুষের মনে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন ৷
প্রাথমিকভাবে মানুষ মনে করে ক্ষমতার জোরে বিশাল স্মৃতিসৌধের মাধ্যমে নিজেকে চিরকালীন করা যায়, কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। পরিবর্তে যে অগণিত সাধারণ মানুষ দিনরাত্রি মানুষের নিত্য প্রয়োজনে জেগে থেকে মানুষের জন্য কাজ করে যায় সেই দরিদ্র মানুষেরা স্থান পায় ‘মানব-হৃদয় ভূমি’ তে। তাদের প্রকৃত স্মৃতিচিহ্ন মানুষের মনে চিরকাল রয়ে যায় ।
স্মৃতিচিহ্ন কবিতার অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর:
প্রশ্নোত্তর বিভাগ
হাতেকলমে
নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
১. মহৎ মানুষদের জীবনকথা আমরা পাঠ করে থাকি কেন ?
উত্তর:- মহৎ মানুষদের জীবন সততা, ত্যাগ ও ধৈর্য দিয়ে গড়া। তাদের কর্মের প্রতি নিষ্ঠা আমরা পাথেয় করলে তবেই প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠব। তাই মহৎ মানুষদের জীবনকথা আমরা পাঠ করে থাকি ।
২. অত্যাচারী কোন্ কোন্ সাম্রাজ্যলোভী জাতির কথা তুমি ইতিহাস পড়ে জেনেছ ?
উওর:- অত্যাচারী শক, হুন, পাঠান, মোগল, ইংরেজ ইত্যাদি সাম্রাজ্যবাদী জাতির কথা আমি ইতিহাস পড়ে জেনেছি।
৩. অতীত ইতিহাসের ধূসর হয়ে আসা কোন্ স্মারক / সৌধ / মিনার তুমি দেখেছ?
উওর:- অতীত ইতিহাসের ধূসর হয়ে আসা শহিদমিনার, কুতুব মিনার ইত্যাদি আমি দেখেছি ।
৪. তোমার দৃষ্টিতে কাদের কথা সমাজের সকলের চিরকাল মনে রাখা উচিত?
উওর:- যাঁরা মানুষের জন্য কাজ করেন, যাঁরা সমাজের মঙ্গল কামনায় নিজেকে উৎসর্গ করেন তাঁদের কথা সমাজের সকলের চিরকাল মনে রাখা উচিত।
৫. মানুষ নিজেকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে চায় কেন ?
উত্তর:- মানুষ নিজেকে চিরকাল অক্ষয় রাখতে চায় কিন্তু কালের করাল ছায়া তাকে ছিনিয়ে যায় পৃথিবীর বুক থেকে, তবুও তার টিকে থাকার বাসনা রয়ে যায়। তাই মানুষ নিজেকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে চায় ।
নীচের বিবৃতিগুলির মধ্যে যেগুলি ঠিক তাদের পাশে (V) চিহ্ন আর যেগুলো ভুল তাদের পাশে (x) চিহ্ন দাও :
উত্তর:-
১.১ ইট-পাথরে গড়া সৌধ কাউকে চিরস্মরণীয় করে রাখে না। O☑
১.২ যাঁরা নিজেদের সৌধ গড়ে কীর্তিকে অমর করে রাখতে চান তাঁরা বরেণ্য। (x)
১.৩ সাধারণ মানুষের মনে যাঁরা স্থান পেয়েছেন, তাঁদের নাম ভেসে যায়। (x)
১.৪ এমন বহু সহায়-সম্বলহীন, দরিদ্র মানুষ আছেন, মহাকাল যাঁদের স্মৃতি মুছে দিতে পারেনি। ☑
১.৫ ‘মানব হৃদয়-ভূমি’ অধিকার করতে হলে মানুষের জন্য কল্যাণকর কাজ করতে হবে। (x)
স্মৃতিচিহ্ন কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর:
২ কবিতা থেকে শব্দ চয়ন করে নীচে প্রদত্ত কবিতাংশের শূন্যস্থান পূরণ করো :
“ওরা ভেবেছিল ____ আপনার নাম/মনোহর ___ বিশাল ____ ইষ্টক _____ রচি চিরদিন ____/ রেখে।
উওর:- মনে; হর্ম্মরূপে,অক্ষরে; প্রস্তরে,তরে; যাবে।
৩. নীচে দেওয়া শব্দগুলির বিপরীতার্থক শব্দ লেখো মনোহর, বিশাল, মূঢ়, ব্যর্থ, ভগ্ন, লুপ্ত, শুষ্ক, অধিকার, দৃঢ়, অক্ষুণ্ণ, ধৌত, নিত্য, সমুজ্জ্বল।
উওর:-
শব্দ। বিপরীতার্থক শব্দ
মনোহর। কুৎসিত।
বিশাল। ক্ষুদ্র ।
মুঢ়। বিদ্বান, পণ্ডিত।
ব্যর্থ। সফল।
ভগ্ন। অভগ্ন, গোটা ।
লুপ্ত। বিদ্যমান।
আর্দ্র। শুষ্ক।
অধিকার। অনধিকার।
দৃঢ়। শিথিল।
অক্ষুণ্ণ। ক্ষুণ্ণ ।
ধৌত। অধৌত।
নিত্য। অনিত্য।
অনুজ্জ্বল। সমুজ্জ্বল।
৪ নীচের বিশেষ্যগুলিকে বিশেষণে ও বিশেষণগুলিকে বিশেষ্যে রূপান্তরিত করো :
নাম, মনোহর, প্রস্তর, মূঢ়, ব্যর্থ, ভগ্ন, স্তূপ, স্মৃতি, রক্ষা, মানব, হৃদয়, প্রতিষ্ঠা, দৃঢ়, দরিদ্র।
বিশেষ্য। বিশেষণ
রক্ষা। রক্ষিত
মনহরণ মনোহর
প্রস্তর। প্রস্তর ময়
মূঢ়তা মূঢ়
ব্যর্থতা। ব্যর্থ
ভগ্নাংশ, ভগ্নাশেষ, ভগ্ন
স্তূপ। স্তূপকার
স্মৃতি স্মার্ত
রক্ষা। রক্ষিত
মানব মানবিক
হৃদয়। হার্দিক
প্রতিষ্ঠা। প্রতিষ্ঠিত
দৃঢ়তা দৃঢ়
দারিদ্র্য। দরিদ্র
৫ নীচের শব্দগুলিকে বাক্যে ব্যবহার করো : অক্ষর, চিরদিন, স্মৃতি, মানব, রক্ষা, অধিকার, সম্বল, প্রতিষ্ঠা।
অক্ষর — তুমি যদি ভালো কাজ করে যাও, তাহলে তোমার নাম সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে।
চিরদিন — যাঁরা মহান ব্যক্তি, তাঁদের নাম সকলে শ্রদ্ধার সঙ্গে চিরদিন স্মরণ করে।
স্মৃতি– ছোটোবেলার স্মৃতি আজও আমার কাছে অমলিন।
মানব— জগৎ জুড়ে এক জাতি আছে, যে জাতির নাম মানব জাতি ।
রক্ষা—- দেশকে রক্ষা করার মহান দায়িত্ব পালন করে সৈন্যবাহিনী।
অধিকার— ‘স্বরাজ আমার জন্মগত অধিকার’-
বলেছিলেন বাল গঙ্গাধর তিলক।
সম্বল— বাড়িটাই অজয়বাবুর শেষ সম্বল।
প্রতিষ্ঠা– আগামী ১ বৈশাখ আমাদের কালীমন্দিরে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করা হবে
৬ নীচের শব্দগুলির সন্ধি বিচ্ছেদ করো : মনোহর, মনস্কাম, ব্যর্থ, সিংহাসন, প্রতিষ্ঠা, সমুজ্জ্বল, প্রস্তর।
উত্তর
সন্ধিবদ্ধ পদ সন্ধি বিচ্ছেদ
মনোহর। মনঃ + হর।
মনস্কাম। মনঃ + কাম
ব্যর্থ। বি + অর্থ ।
সিংহাসন। সিংহ + আসন ।
সমুজ্জ্বল। সম্ + উজ্জ্বল।
প্রস্তর প্র-√স্ + অ। (প্রত্যয় নিষ্পন্নশব্দ)
প্রতিষ্ঠা প্রতি + ইষ্ঠা ।
৭. নীচের শব্দগুলির গদ্যরূপ লেখো : আপনার, রচি, তরে, খসিছে, ভূমে, আছিল, হের।
শব্দ। গদ্যরূপ
আপনার। নিজের
রচি। রচনা করি।
তরে। জন্য/নিমিত্ত।
খসিছে। খসে পড়ছে।
ভূমে। পৃথিবীতে/ভূমিতে।
আছিল। ছিল।
হের। দ্যাখো।
৮. সমার্থক শব্দ লেখো : মন, হৰ্ম্মা, মূঢ়, দরিদ্র, নদী ।
প্রদত্ত শব্দ। সমার্থক শব্দ
মন। হৃদয়, চিত্ত।
হৰ্ম্ম। প্রাসাদ, অট্টালিকা।
মূঢ় মূর্খ, বোকা, অজ্ঞ ।
দরিদ্র গরিব, দীন।
নদী তটিনী, স্রোতস্বিনী।
স্মৃতিচিহ্ন কবিতার অনুশীলনী:
নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত ও যথাযথ উত্তর দাও :
[ ৯.১ ‘স্মৃতিচিহ্ন’ কবিতাটি কার রচনা ? উত্তর ‘স্মৃতিচিহ্ন’কবিতাটি বিশিষ্ট কবি কামিনী রায়ের রচনা।
[ ৯.২ কবিতাটি তাঁর কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত ? উত্তর কবিতাটি তাঁর ‘নির্মাল্য’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
৯.৩ কবিতাটি কী জাতীয় রচনা? উত্তর কবিতাটি একটি গীতিকবিতা।
[ ৯.৪] কবিতায় কবি কাদের ‘মূঢ়’ ও ‘ব্যর্থ মনস্কাম’ বলেছেন ?
উ ত্তর কবিতাটিতে যারা অর্থ ও প্রতিপত্তির দ্বারা নিজেদের চিরস্মরণীয় করে রাখতে চায়,
[ ৯.৫] তাদের স্মৃতি কীভাবে লুপ্ত হয়ে যায় ?
উত্তর ক্ষমতা ও অর্থের জোরে যারা সৌধ বানিয়ে নিজেদের নাম অক্ষয় করে রাখতে চেয়েছিল তাদের সেইসব স্মৃতিসৌধ কালের গর্ভে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়, ফলে তাদের স্মৃতি লুপ্ত হয়ে যায়।
[৯.৬] কারা মানুষের মনে চিরস্থায়ী আসন লাভ করে ?
উত্তর যারা নিঃস্বার্থভাবে মানুষের জন্য কাজ করে, তারাই মানুষের মনে চিরস্থায়ী আসন লাভ করে। }
উত্তর যারা নিঃস্বার্থভাবে মানুষের জন্য কাজ করে, তারাই মানুষের মনে চিরস্থায়ী আসন লাভ করে। }
[৯ ৭] ‘কাল’-কে কবিতায় কীসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে ?
উত্তর: ‘কাল’-কে কবিতায় সময়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
৯.৮ কবিতায় শুষ্ক তৃণ বলতে কবি কি বুঝিয়েছেন?
উত্তর: যারা অর্থ ও প্রতিপত্তির জোরে নিজেদের স্মৃতি অক্ষয় রাখার জন্য সৌধ বানিয়েছিল, সময়ের স্রোতে একদিন তাদের নাম শুষ্ক তৃণের মতো ভেসে যাবে।
স্মৃতিচিহ্ন কবিতার প্রশ্ন:
১০. তিন চারটি বাক্যে নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:
১০.১ ‘ওরা ভেবেছিল মনে তারা কী ভেবেছিল ? ‘—কাদের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর ‘স্মৃতিচিহ্ন’ কবিতায় ‘ওরা’ বলতে যশ ও ঐশ্বর্যলোভী ব্যক্তিদের কথা বলা হয়েছে।
তারা ভেবেছিল, তাদের তৈরি করা সৌধের দ্বারা মানুষ তাদের চিরকাল স্মরণে রাখবে।
[১০.২ ‘মূঢ় ওরা’—কবিতায় তাদের ‘মূঢ়’ বলার কারণ কী ?
উত্তর : ‘মূঢ়’ কথার অর্থ অজ্ঞ বা বোকা। অহংকারী, ধনী বা সাম্রাজ্যলোভীরা মনে করেছিল তাদের তৈরি সৌধ চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। কিন্তু কালস্রোতে ভেসে যাওয়া জীবন-যৌবন ধনমানের মতো তাদের নির্মিত সৌধও একদিন ভেঙে পড়বে, তাদের কথা তখন কেউ মনে রাখবে না। তাই তাদের কবি ‘মূঢ় বলেছেন।
১০.৩ ‘কেবা রক্ষা করে।’—কী রক্ষা করার কথা বলা হয়েছে? তা রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না কেন?
উত্তর: প্রাচীনকালে নির্মিত স্মৃতিসৌধ রক্ষার কথা বলা হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সমস্ত কিছুই ধ্বংস হয়। যতই চেষ্টা করা হোক তা একদিন কালের নিয়মে বিনষ্ট হবেই। তাই রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না।
১০.৪ ‘দরিদ্র আছিল তারা,’–কাদের কথা বলা হয়েছে? তাদের রাজত্ব কীভাবে অক্ষুণ্ণ রয়েছে বলে কবি মনে করেন ? (পঠন সেতু)
উত্তর যারা ধনী নয়, দরিদ্র হয়েও মানুষের মনে চিরকালীন আসন পেয়েছেন কবি তাদের কথা বলেছেন ।
মানুষের কল্যাণে নিবেদিত ছিলেন যে-সমস্ত মানুষেরা, তাদের কল্যাণময় কর্মের জন্যই তারা সমস্ত মানুষের মনে সদা বিরাজিত, যা পরম্পরায় বয়ে চলতেই থাকবে। তাই তাদের রাজত্ব অক্ষুণ্ণ রয়েছে।
১০.৫ কালস্রোতে কাদের নাম ধুয়ে যায়? সেই স্রোত কাদের স্মৃতি গ্রাস করতে পারে না ?
উত্তর:- কালস্রোতে অহংকারী সাম্রাজ্যবাদীদের নাম ধুয়ে যায়। যারা ইট-কাঠ-পাথরের সৌধ তৈরি করে নিজেদের নাম অক্ষয় করতে চেয়েছিল।
কালের স্রোত, মানবকল্যাণে নিবেদিত সেই সমস্ত মানুষগুলির স্মৃতি গ্রাস করতে পারে না, যারা মানুষের হৃদয় সিংহাসন অধিকার করে আছে।
১০.৬ ‘মানবহৃদয়-ভূমি করি অধিকার’—কারা, কীভাবে মানবহৃদয়-ভূমি অধিকার করে ?
উত্তর মানুষের হৃদয় জয় করতে পারে একমাত্র মহান মানবতা।