নোট-বই-কবিতার-প্রশ্ন-উওর-class-7
Bengali

নোট বই কবিতার প্রশ্ন উওর class 7 Study Learn

নোট বই কবিতার প্রশ্ন উওর class 7 Study Learn

নোট বই

সুকুমার রায়

নোট বই কবিতার প্রশ্ন উওর এখানে নোট বই কবিতার সমস্ত রকমের প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হয়েছে।

উৎস

‘নোট বই” কবিতাটি কবির ‘আবোল তাবোল’ শীর্ষক কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।

নোট বই কবিতার বিষয়বস্তু:

বিষয়সংক্ষেপ

‘নোট বই’ কবিতাটির মধ্য দিয়ে আমরা জানতে পারি যে, একটি শিশুর মনের মধ্যে নানান ধরনের সব অদ্ভুত প্রশ্ন ভিড় করে আসে এবং সেগুলির উত্তর সে নোটবইতে লিখে রাখে। প্রশ্নগুলি সে নিজেই দেখে, লেখে এবং তার উত্তরগুলিও মাথা ঘামিয়ে লিখে রাখে।

ফড়িঙের ক-টি ঠ্যাং, আরশোলা কী কী খায়, আঙুলে আঠা লাগলে কেন তা চটচট করে? কেনই বা গোরুকে কাতুকুতু দিলে ছটফট করে—এমনসব নানান প্রশ্ন তার মাথায় ভিড় করে। কান কটকট করে কেন, ফোড়া কেন টনটন করে এসব প্রশ্নের উত্তর সে খুঁজে পায় না।

অন্যদিকে মেজদাকে খুঁচিয়ে সে জেনে নিতে চায় ঝোলাগুড় সাবান না পটকায় দিতে হয়, পেট কেন কামড়ায়, জোয়ানের আরকে ঝাঁজ হয় কেন? তেজপাতায় কীসের এত তেজ, লঙ্কায় এত ঝাল কোথা থেকে এল?
নাক ডাকে কেন এবং মানুষের পিলে কেন চমকায়, দুন্দুভি কাকে বলে; অরণি কী – এসবই পাঠকের উদ্দেশে শিশুমনের প্রশ্ন। কিন্তু সবশেষে শিশুর নিজস্ব উপলব্ধি—এইসব প্রশ্নের উত্তর কেউ দিতে পারবে না, কারণ তারা নোটবুক পড়েনি।

নোট-বই-কবিতার-প্রশ্ন-উওর-class-7

নামকরণ

‘নোট বই” কবিতাটি হাস্যরসিক কবি সুকুমার রায়ের একটি উল্লেখযোগ্য হাস্যরসাত্মক কবিতা। কবিতাটিতে একটি শিশুর মাথায় যতসব আজগুবি ও হাস্যকর প্রশ্ন ভিড় করে। ছেলেটি গুরুগম্ভীরভাবে অনেক ভাবনাচিন্তা করে তার উত্তরগুলি নোটবইতে লিখে রাখে। ভালো কথা যা শুনতে পায়, তাও নোটবুকে লিখে রাখে।

বইটি তার কাছে বিশ্বজ্ঞানের ভাণ্ডারের মতো। বিশ্বে যত রকমের আজগুবি প্রশ্ন আছে, তার সব উত্তর বইটির মধ্যে আছে বলে ছেলেটি মনে করে। নোটবইতে যতসব আজগুবি হাস্যকর তথ্য আছে বলে কবিতাটির নাম কবি ‘নোট বই’ রেখেছেন। সেদিক থেকে নামকরণটি সার্থক বলা যায় ৷

নোট বই কবিতার প্রশ্ন উওর class 7: হাতেকলমে

১.একটি বাক্যে উত্তর দাও :

নোটবই কী ধরনের লেখাতে ভরা?

উত্তর নোটবই ‘কিলবিল’ সব লেখাতে ভরা ।

১.২ বক্তা কী করে নিজে নিজে নোট বইটি লিখলেন?

বক্তা অর্থাৎ বাচ্চা ছেলেটি যেখানে যা যা ভালো ভালো কথা শোনে সেগুলি সে নোটবইটিতে চটপট লিখে রাখে।

২ – চটপট, চটচট, ছটফট, কটকট এই শব্দগুলি কী ধরনের শব্দ? চটপট আর ছটফট এই দুটি শব্দ দিয়ে দুটি করে বাক্য লেখো।

চটপট, চটচট, ছটফট, কটকট—শব্দগুলি হল ধ্বন্যাত্মক শব্দ। এরকম আরও কিছু শব্দদ্বৈত হল—ছপছপ, খচখচ,ঝপঝপ, শনশন, কটকট ইত্যাদি।

চটপট – চটপট তৈরি হয়ে নাও এখুনি আমাদের বেরোতে হবে।
চটপট – হাতের কাজটি চটপট করে সেরে নাও । ছটফট – ছেলেটি মাথার যন্ত্রণায় ছটফট করছে। – ছটফট – বাচ্চটি বাইরে যাওয়ার জন্য ছটফট করছে। –

নীচের বিশেষ্যগুলির আগে উপযুক্ত বিশেষণ বসাও :

উত্তর

বিশেষণ বিশেষ্য

ছোটো। লণ্ঠন
ঝাল লংকা
চটচটে। আঠা

৪ একই অর্থযুক্ত আরেকটি শব্দ কবিতা থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো : পা, উত্তর, অস্থিরতার ভাব, তীক্ষ্ণতা।

উত্তর

শব্দ। একই অর্থযুক্ত শব্দ

পা। ঠ্যাং
উত্তর। জবাব
অস্থিরতার ভাব ছটফট
তীক্ষ্ণতা। ঝাঁজ

শূন্যস্থান পূরণ করো :

বিশেষ্য। বিশেষণ

আঠা। আঠালো

মানস। মানসিক

 

নোট বই কবিতার: অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:

১.ভালো কথা শুনলে কবিতার লোকটি কী করে ?

উত্তর: বক্তা ভালো কথা শুনলে চটপট সেগুলি নোটবইতে লিখে রাখে।

২. ছেলেটির মনে কী বিষয়ে খটকা লেগেছিল ?

উত্তর: ঝোলাগুড় কীসে দেয় সাবান না পটকায় সে-বিষয়ে তার মনে খটকা লেগেছিল।

৩. ছেলেটির নোটবুক কীসে ভরা ?

উত্তর: ছেলেটির নোটবুক কিলবিল লেখাতে ভরা ।
8 . মেজদার থেকে ছেলেটি কীসের উত্তর জেনে নেবে?

উত্তর: মেজদার থেকে ছেলেটি জানবে ঝোলাগুড় কীসে দেয়—সাবান না পটকায় ।

বক্তা ভালো কথা শুনলে চটপট সেগুলি নোটবইতে লিখে রাখে।

একমুখী তথ্যানুসন্ধানী প্রশ্নোত্তর

দুটি বা তিনটি বাক্যে উত্তর লেখো

১. ছেলেটি কয়েকটি অদ্ভুত ধরনের প্রশ্ন করেছিল এমন তিনটি প্রশ্নের নাম লেখো ।

উত্তর: অদ্ভুত প্রশ্ন তিনটি হল—তেজপাতায় তেজ কেন হয় ? লঙ্কায় ঝাল কেন হয়? জোয়ানের আরকে ঝাঁজ কেন?

২ . ‘নোট বই” কবিতাটিতে কী ধরনের মানসিকতা প্রকাশ পেয়েছে?

উত্তর: বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক সুকুমার রায় তাঁর ‘নোট বই” কবিতায় শিশুমনের খেয়ালি কল্পনার জাল বুনেছেন। কবি আলোচ্য কবিতায় এমনসব অবাস্তব প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন, যার উত্তর প্রশ্নের মধ্যেই নিহিত আছে। আসলে বিষয়বস্তুর সারমর্ম তুলে ধরা কবির উদ্দেশ্য নয়, কল্পনাপ্রবণ শিশুমনকে চমকে দেওয়াই কবির উদ্দেশ্য।

নোট বই কবিতার: বোধমূলক প্রশ্নোত্তর

কমবেশি ছ-টি বাক্যে উত্তর লেখো

১.‘দেখে শিখে পড়ে শুনে বসে মাথা ঘামিয়ে’– কোন্ কবিতার অংশ? বক্তা কে? সে কোন্ বিষয়ে মাথা ঘামিয়েছে এবং কেন ?

উত্তর: উদ্ধৃত অংশটি হাস্যরসিক কবি সুকুমার রায় রচিত ‘নোট বই’ শীর্ষক কবিতার অংশ ।

কবিতায় বর্ণিত বক্তা হল একটি ছেলে, যার নানারকম উদ্ভট বিষয়ে জানার ইচ্ছা।

বক্তা অর্থাৎ ছেলেটি যে যে বিষয়ে মাথা ঘামিয়েছে সেগুলি হল—ফড়িঙের ক-টি পা; আরশোলার খাবার কী; আঙুলে আঠা লাগলে তা কেন চটচট করে; কাতুকুতু দিলে গোরু কেন ছটফট করে ইত্যাদি ।

নানা বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসা। কবিতায় বর্ণিত ছেলেটিও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই সেও নানা বিষয়ে মাথা ঘামিয়েছে।

শিশুমন কৌতূহলপ্রবণ। প্রয়োজনীয় কিংবা অপ্রয়োজনীয়

২. “এই বেলা প্রশ্নটা লিখে রাখি গুছিয়ে, জবাবটা জেনে নেব মেজদাকে খুঁচিয়ে।”—কোন্ কবিতার অংশ? উদ্ধৃতাংশের তাৎপর্য লেখো। ১+

উত্তর: উদ্ধৃত অংশটি সুকুমার রায়ের লেখা ‘নোট বই’কবিতার অংশ।

কবিতাটিতে এক ছোটো ছেলে বিভিন্ন ধরনের অদ্ভুত সব প্রশ্ন তার নোটবইয়ে লিখে রাখে এবং সেগুলির উত্তরও সে নোট বইয়ের মধ্যে লিখে রাখে। এখানে ঝোলাগুড় কীসে দেয় সাবান না পটকায়—সেই প্রশ্নের উত্তর সে জানতে চায়। সেজন্য মেজদা বার বার বিরক্ত হলেও তার থেকেই সে উত্তর জানবে। উত্তর জানার পর সেগুলি সে নোটবইতে লিখে রাখবে।

নোট বই কবিতার: রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

কমবেশি আট-দশটি বাক্যে উত্তর লেখো

১. ‘বলবে কী, তোমরাও নোট বই পড়োনি !’—কার লেখা, কোন্ কবিতার অংশ এটি ? আলোচ্য পঙ্ক্তিটির মধ্য দিয়ে বক্তা কী বোঝাতে চেয়েছেন?

উত্তর: আলোচ্য পঙ্ক্তিটি সুকুমার রায়ের লেখা। এটি ‘নোট বই’ কবিতার অংশ ৷

পঙ্ক্তিটির মধ্য দিয়ে কবি বোঝাতে চেয়েছেন যে, বড়ো মানুষরা কখনও সাধারণ বিষয় নিয়ে অদ্ভুত প্রশ্ন করে না এবং তার উত্তরও জানতে চায় না। কিন্তু ছোটোদের মনে সেসব বিষয় নিয়ে কত বিচিত্র ধরনের প্রশ্ন জাগে এবং তার উত্তর জানতে চাওয়ার জন্য বড়োদের তারা বিরক্ত করে।
তাদের মনের মধ্যে সেইসব অদ্ভুত ধরনের প্রশ্ন ভিড় করে আসে, যার উত্তর তাদের জানা নেই। কবি বলতে চেয়েছেন তারাই ওইসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে যারা নোটবই পড়েছে। আর যারা নোটবই পড়েনি তারা এর উত্তর দিতে পারবে না ।

২. নোটবই পড়লে কোন্ কোন্ বিষয় জানা যায়, তা কবিতা অবলম্বনে বুঝিয়ে দাও ।

উত্তর: বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক সুকুমার রায় তাঁর ‘নোট বই’ কবিতায় শিশুমনের খেয়ালি কল্পনার জাল বুনেছেন শব্দ ও ছন্দের মাধ্যমে। এ নোটবই সাধারণ নোটবই নয়; এতে আছে কতকগুলি উদ্ভট প্রশ্ন—যা শিশুমনে হাসির উদ্রেক করে।

ফড়িঙের কতগুলি ঠ্যাং, আরশোলা কী কী খায়, আঙুলে আঠা লাগলে কেন চটচট করে, কাতুকুতু দিলে গোরু কেন ছটফট করে, এসব সাধারণ প্রশ্নের উত্তর শিশু মাথা ঘামিয়ে লিখে নেয়। কান কেন কটকট করে, ফোড়া কেন টনটন করে—এ প্রশ্ন আজগুবি বলেই মনে হয়। ঝোলাগুড় কী কাজে লাগে আমরা সবাই জানি ।

তবে এর প্রয়োগটি বেশ অদ্ভুত। তেজপাতায় কেন তেজ, লঙ্কায় কেন ঝাল, জোয়ানে কেন ঝাঁজ—এসব প্রশ্ন অতি সাধারণ হলেও কবির উপস্থাপনকৌশলে বেশ মজার উদ্রেক হয়। নাক ডাকা ও পিলে চমকানো ব্যাপারটাও বেশ হাস্যকর। তবে দুন্দুভি ও অরণি ব্যাপারটা একটু শক্ত। যাই হোক, কবির কলমে ছড়ার ছন্দে সামান্য বিষয়গুলি অসামান্য হয়ে উঠেছে ‘নোট বই’ কবিতায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *