আমাজনের জঙ্গলে প্রশ্ন উত্তর Study Learn
ভ্রমণ কাহিনি : আমাজনের জঙ্গলে লেখকঃ অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
আমাজনের জঙ্গলে গল্পের প্রশ্ন উত্তর, সারাংশ এবং অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হয়েছে।
আমাজনের জঙ্গলে সারাংশ :
সারসংক্ষেপ : লেখক আমাজন নদীতে নৌকা ভ্রমণে গিয়েছেন। গল্পে লেখক একটি অল্পবয়সি ছেলে যে কাকাদের কাছ থেকে হারিয়ে গেছে। আর কোনোদিন সে বাড়ি ফিরতে পারবে কিনা তা তার জানা নেই। উবা নামে একটি বালিকার সঙ্গে নৌকাভ্রমণের এক অভিজ্ঞতার কথা লেখক গল্পে তুলে ধরেছেন।
লেখক ও উপার সামনের নৌকা থেকে ভেসে আসা সুরেলা বাজনা থামার মিনিট দুয়েকের মধ্যে কাছে দূরে সব কটা নৌকার গান বাজনা থেমে গেল। এক অদ্ভুত স্বল্পতার মধ্যে ফিস ফিস করে উবা বলল–বোতো! বোতো! নৌকা উৎসবের রাতে বোতোর দেখা পাওয়া নাকি সৌভাগ্যের লক্ষণ। অন্যদের থেকে লেখক বোতোকে দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েছিলেন।
সে নাকি আমাজনের বিপদে-আপদে মানুষকে রক্ষা করে। জলের তলায় এক মস্ত শহরে রঙিন পাথরে তৈরি তার বিরাট প্রাসাদ। উবার ইশারায় নদীর জলের দিকে তাকিয়ে লেখক দেখলেন যে একটা লম্বা প্রাণী তিন-চার হাত জলের নীচে এঁকে বেঁকে ঘুরছে। তার মস্ত বড়ো মাথা, ল্যাজটা শরীরের শেষ প্রান্ত থেকে দুদিকে ভাগ হয়ে গেছে আর রংটা মনে হয় গোলাপি।
লেখক ভাবলেন পূর্ণিমা রাতে আমাজন নদীতে ডলফিন দেখাও ভাগ্যের কথা। সে যদি আমাজনের দেবতা হয় তাহলে তিনি নিশ্চয়ই তার মনের কষ্ট আর প্রার্থনা বুঝতে পারবেন। তাই লেখক মা, বাবা আর বন্ধুদের কাছে ফিরে যাওয়ার প্রার্থনা জানাল বোতোর কাছে। অতগুলো নৌকো দেখেও বোতো আনন্দে জলের নীচে সুরে তালে ছন্দে লয়ে নেচে বেড়াচ্ছে।
জঙ্গলে ঘুরতে ঘুরতে উবা একেকদিন হঠাই হাঁটু গেড়ে মাটিতে বসে পড়ে এবং লেখককেও বসতে বলে এবং তার গভীর দুটি চোখ দিয়ে অনেকক্ষণ ধরে কী যেন দেখে। বেশ কিছু দিন এরকম করার পর একদিন সকালে উবা লেখকের চোখে চোখ রেখে মাটির উপর তার কাঠকুটোর ছবি তৈরি করতে লাগল। লেখক ছবি দেখে বুঝলেন উবা জানতে চায় লেখক কে? কোথা থেকে এসেছে? কোন পৃথিবীর সে মানুষ, সে পৃথিবীটা কী রকম?
এই প্রশ্নের উত্তরে লেখক ছবি এঁকে উবাকে কলকাতার কথা, তার বাবা মা, বন্ধু, স্কুল, কলকাতা শহর, ঘর বাড়ি, দোকান বাজার, গাড়ি বোড়া লোকজনের কথা বোঝালেন। আবার কাঠকুটো সাজিয়ে উবা বলল কলকাতায় জঙ্গল, পাখি, প্রজাপতি, নেই। ওটাতো বালির দেশ সেখানে সে কীভাবে থাকে? আমাজনের জঙ্গলে বসে উবার কথা শুনে লেখকের মনে হল সত্যিই তো কলকাতায় সবুজ বনজঙ্গল, পাখি, প্রজাপতি তো দেখা যায় না।
ভ্যান রিকশায় চারদিক কন্স গাড়িতে ছোটো ছেলেমেয়েরা গাদাগাদি করে বসে স্কুলে যাচ্ছে, লেখাকের আঁকা এই ছবিটার মানে ঊবা বুঝতে পারল না। আরও কয়েকটা ছবি এঁকে তিনি উবাকে স্কুল সম্বন্ধে যতটা সম্ভব বলা যায় বললেন।
এরপর উঠা তার কাঠকুটোর ছবি দিয়ে বোঝাল জালের গাছপালা, ফুলফল, কীটপতঙ্গের সঙ্গে না থেকে গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত, বসন্ত না দেখে কলকাতায় বসে কাঁ করে জগৎটাকে লেখক জানবে। এরপর উবা লেখকের একটা হাত নিজের দুহাতে নিয়ে লেখকের চোখে তার সেই গভীর দুচোখের দৃষ্টি রেখে মুখে কোনো তুমি আর ওই দেশে ফিরে যেও না।
আমাজনের জঙ্গলে অনুশীলনী প্রশ্ন ও উত্তর :
হাতে কলমে : অনুশীলনী প্রশ্ন ও উত্তর
১. অমরেন্দ্র চক্রবর্তীর লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো। উঃ। অমরেন্দ্র চক্রবর্তীর লেখা দুটি বইয়ের নাম হল : শাদা ঘোড়া, হীরু ডাকাত।
২. ভ্রমণ পত্রিকা ছাড়াও তিনি আর কোন্ পত্রিকার সম্পাদক? উঃ । ভ্রমণ পত্রিকা ছাড়াও তিনি কর্মক্ষেত্র পত্রিকার সম্পাদক।
৩. ঠিক উত্তরের তলায় দাগ দাও :
৩.১ লেখক গল্পটিতে যে জায়গার উল্লেখ করেছেন সেটি হল (ইউক্রেন/আমাজন/সুন্দরবন)।
৩.২ আমাদের একেবারে (পিছনের/সামনের/পাশের) নৌকা থেকে ভারি সুরেলা বাজনা ভেসে
৩.৩ কোনও একটা নৌকা থেকে বোতোর দেখা পাওয়ার (মিনিট দুয়েকের/মিনিট সাতেকের/মিনিট মধ্যেই সব নৌকায় সেই সুখবর ছড়িয়ে যায়।
আ ৩.৪ (উবা/বোতো/টোবো) আমার চোখের দৃষ্টি দেখে বুঝতে চায় আমি কে?
৩.৫ উবা (চক খড়ি/লতাপাতা/কাঠকুটো) দিয়ে ছবি আঁকার ভারি ওস্তাদ।
উঃ। আমাজন, সামনের, মিনিট দুয়েকের, উবা, কাঠকুটো।
৪. ‘গান বাজনা’—শব্দটির প্রথম অংশ’ ‘গান’ এবং দ্বিতীয় অংশ ‘বাজনা’ পরস্পরের পরিপূর পরে তাদের সমার্থক বা প্রায় সমার্থক অন্য শব্দ জুড়ে নতুন শব্দজোড় তৈরি করো :
লোক, রোগ, ভাবনা, ডাক্তার, আশা, হাঁক, কাঠ, ধন। ।
উঃ। লোকজন, রোগব্যাধি, ভাবনাচিন্তা, ডাক্তারবদ্যি,আশানিরাশা, হাঁকডাক, কাঠকুটো, ধনদৌলত
৫. নীচে কিছু কর্তা, কর্ম ও ক্রিয়া ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। কর্তার সাথে কর্ম ও ক্রিয়াকে মিলিয়ে ৫টি বাক্য কর্তা কর্ম ক্রিয়া।
উঃ।
কর্তা:- আমি, কর্ম:- প্রার্থনা, ক্রিয়া:-দেখো
কর্তা:- উবা, কর্ম:-ছবি, ক্রিয়া:-যাচ্ছে
কর্তা:- বোতো, কর্ম:- পাখি ক্রিয়া:-দেখছে
কর্তা:-সে, কর্ম:-স্কুলে, ক্রিয়া:-করলাম
কর্তা:-ছেলেমেয়েরা কর্ম:-আকাশে ক্রিয়া:-আঁকছিল
১. আমি প্রার্থনা করলাম।
২. উবা ছবি আঁকছিল।
৩. বোতো পাখি দেখছে।
৪. সে স্কুলে যাচ্ছে।
৫. ছেলেমেয়েরা আকাশে দেখো।
৬. নীচের শব্দগুলি দিয়ে বাকারচনা করো :
(ধীরে ধীরে, বসে বসে, আগে আগে, হেঁটে হেঁটে, জেগে জেগে।)
উঃ
ধীরে ধীরে-রাত শেষ হয়ে ধীরে ধীরে ভোর হয়ে এল।
বসে বাস-অনেকক্ষণ বসে বসে কোমরে ব্যথা ধরে গেল।
আগে আগে-লোকটি আমার আগে আগে চলেছে।
হেঁটে হেঁটে— অনেকটা পথ হেঁটে হেঁটে এসে পায়ে যন্ত্রণা করছে।
জেগে জেগে—পুজোয় সারারাত জেগে জেগে ঠাকুর দেখতে মজা লাগে।
৭. গল্পের ঘটনা অনুযায়ী নীচের বাক্যগুলি পরপর সাজিয়ে লেখো :
৭.১ বোতোকে দেখা গেছে।
৭.২ বোতোকে দেখার জন্য আমি ব্যাকুল হয়ে পড়েছিলাম।
৭.৩ বোতো মনের ভেতরের সুরে তালে ছন্দে নেচে বেড়াচ্ছে।
৭.৪ একটা নৌকার গান বাজনা থেমে গেলে বাকিরা যারা যত আগে খেয়াল করবে তারা তত নৌকার বাজনা থামাবে।
৭.৫ সামনের নৌকা থেকে সুরেলা বাজনা ভেসে আসছিল।
উঃ। ৭.৫ সামনের নৌকা থেকে সুবেলা বাজনা ভেসে আসছিল।
৭.১ বোতোকে দেখা গেছে।
৭.৪ একটা নৌকার গান বাজনা থেমে গেলে বাকিরা যারা যত আগে খেয়াল করবে তারা তত আগে তাদের নৌকার বাজনা থামাবে।
৭.২ বোতোকে দেখার জন্য আমি ব্যাকুল হয়ে পড়েছিলাম।
৭.৩ বোতো মনের ভেতরের সুরে তালে ছন্দে নেচে বেড়াচ্ছে।
৮. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :
৮.১ লেখক কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলেন?
উঃ। লেখক আমাজনের জঙ্গলে হারিয়ে গিয়েছিলেন।
৮.২ লেখক কাকে বন্ধু হিসাবে পেয়েছিলেন?
উঃ। লেখক উবা নামে একটি মেয়েকে বন্ধু হিসাবে পেয়েছিলেন।
৮.৩ জলের দেবতা বলে কাকে আমাজনের বাসিন্দারা মানে?
উঃ। আমাজনের বাসিন্দারা বোতোকে জলের দেবতা বলে মানে।
৮.৪ উবা কোন্ শহরকে বালির দেশ বলে বুঝিয়েছিল?
উঃ। উবা কলকাতা শহরকে বালির দেশ বলে বুঝিয়েছিল।
৮.৫ বালির দেশ—কথার অর্থ কী ?
উঃ। বালির দেশ—কথার অর্থ গাছপালাহীন শুষ্ক দেশ অর্থাৎ মরুভূমি।
আমাজনের জঙ্গলে প্রশ্ন উত্তর class 4
৯. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
৯.১ কাকাদের সঙ্গে না থাকাকে পাঠ্যাংশের আগন্তুক ছেলেটি সৌভাগ্যজনক মনে করেছে কেন?
উঃ। কাকাদের সঙ্গে থাকলে ছেলেটি হারিয়ে যেত না আর না হারালে আমাজনের এমন জঙ্গল, নদী, চাঁদ ও মানুষজন আগন্তুক ছেলেটির দেখাই হত না। তাই কাকাদের সঙ্গে না থাকাকে ছেলেটি সৌভাগ্যজনক মনে করেছে।
৯.২ কোন উৎসবের কথা পাঠ্যাংশে রয়েছে? কীভাবেই বা সে প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়েছে?
উঃ। আমাজন অঞ্চলের নৌকা উৎসবের কথা পাঠ্যাংশে রয়েছে। লেখক তথা আগন্তুক ছেলেটি উবার সঙ্গে একটি নৌকায় ভ্রমণ করছিল। হঠাৎ সামনের নৌকায় গান বাজনা থেমে যাওয়ায় উবা ফিশফিশ করে বলল বোতো! বোতো! এবং জলের দিকে আঙুল দেখাতে লাগল। বোতোর দেখা পাওয়া প্রসঙ্গেই উত্থাপিত হয়েছে
৯.৩ ৰোতো সম্পর্কে আমাজন অঞ্চলে প্রচলিত বিশ্বাসটি কী? তার সম্পর্কে সকলে কী কল্পনা করে?
উঃ। বোতো সম্পর্কে আমাজন অঞ্চলে প্রচলিত বিশ্বাসটি হল যে বোতো আমাজনের দেবতা। বোতোই আমাজনের বিপদে-আপদে মানুষকে রক্ষা করে। জলের তলায় রয়েছে তার মস্ত শহর, সেখানে রয়েছে রঙিন পাথরে তৈরি তার মস্ত প্রাসাদ। বোতোর দেখা পাওয়া সবসময়েই ভালো, বিশেষ করে নৌকা উৎসবের রাতে তার দেখা পাওয়া সৌভাগ্যের লক্ষণ। কেমন লাগল?
৯.৪ গল্প কথকের চোখে দেখা ‘বোতো’র শারীরিক গঠনের পরিচয় দাও। তাকে দেখে আগন্তুক ছেলেটির কেমন লাগল।
উঃ। বোতোর শরীরের গড়ন লম্বা। তার নাক বা ঠোঁট খুব সরু, লম্বায় প্রায় এক-দেড় হাত। মস্তো বড়ো মাথা এবং তার লেজটি শরীরের শেষ প্রান্ত থেকে দুদিকে ভাগ হয়ে গেছে। তার গায়ের রংটি ছিল গোলাপি মতন। তাকে দেখে আগন্তুক ছেলেটির ডলফিন বলে মনে হয়েছিল। আর তার মনে হয়েছিল এর মস্তিষ্ক মানুষের মস্তিষ্কের চেয়ে বড়ো হলেও আশ্চর্যের নয়। পূর্ণিমার রাতে তাকে দেখে ছেলেটির সুন্দর লেগেছিল এবং সে নিজেকে ভাগ্যবান বলে
৯.৫ যে রাতের ছবি পাঠ্যাংশে রয়েছে, তার বিশেষত্বটি লেখো। উঃ। পাঠ্যাংশে যে রাতের কথা বলা হয়েছে সেটি ছিল পূর্ণিমার রাত, আকাশে ছিল বিরাট চাঁদ এবং পরিবেশের মাঝে ছিল এক উৎসবের আমেজ। সেদিন ছিল আমাজনের নৌকা উৎসবের রাত।
৯.৬ বোতোর কাছে আগন্তুক ছেলেটির নীরব প্রার্থনাটি কী ছিল?
উঃ। আগন্তুক ছেলেটি মনে ভেবেছিল যে বোতো যদি আমাজনের দেবতা হন তাহলে তিনি নিশ্চয়ই তার মনের কষ্ট ও প্রার্থনা বুঝতে পারবেন। তাই বোতোর কাছে আগন্তুক ছেলেটির নীরব প্রার্থনাটি ছিল বোতো যেন তাকে তার মা, বাবা আর স্কুলের বন্ধুদের কাছে ফিরে যাওয়ার উপায় করে দেয়।
৯.৭ ছবি এঁকে আগন্তুক ছেলেটি উৰা’-কে কী বোঝাতে চেয়েছিল?
উঃ। আগন্তুক ছেলেটি বেশ বড়ো একটি জায়গা পরিষ্কার করে সেখানে একটি ছবি এঁকেছিল। ছবি এঁকে আগন্তুক ছেলেটি তার নিজের কথা, বাবা-মায়ের কথা, বন্ধুদের কথা, স্কুলের কথা, কলকাতা শহরের কথা, শহর ভরা ঘর-বাড়ি, গাড়ি-ঘোড়া, দোকান বাজার, লোকজনের কথা বোঝাতে চেয়েছিল।
৯.৮ ‘উবা’-র কলকাতা সম্বন্ধে কী ধারণা হল?
উঃ। উবা কাঠকুটো দিয়ে আঁকা লেখকের ছবিটি দেখল এবং কলকাতা সম্বন্ধে তার ধারণা হল যে, কলকাতা বালির দেশ। সেখানে জঙ্গল, পাখি ও প্রজাপতি নেই। এমনকি বড়ো বড়ো নদ-নদী নেই। সেখানে থাকা খুবই কষ্টকর।
৯.৯ কলকাতা সম্পর্কে উবা’-র ধারণা বদলে দিতে তুমি কী কী করতে চাও, লেখো।
উঃ। কলকাতা সম্পর্কে ‘উবা’র ধারণা বদলে দিতে আমি প্রথমেই তাকে কলকাতার পাশ দিয়ে বয়ে চলা হুগলি নদীকে দেখাতে চাই। এছাড়া তাকে কলকাতার ময়দান অঞ্চলের সবুজ গাছপালা দেখাতে চাই। সম্ভব হলে কলকাতা থেকে কিছুটা দূরে সুন্দরবন অঞ্চলটি তাকে ঘোরাতে চাই। এগুলি দেখে হয়তো তার ধারণা বদলাতেও পারে।
৯.১০ কলকাতার আকর্ষণ ছাড়িয়ে দিতে ‘উবা’ যে জগতে আগন্তুক ছেলেটিকে আহ্বান জানিয়েছিল তার বর্ণনা দাও।
উঃ। কলকাতার আকর্ষণ ছাড়িয়ে দিতে উবা ছেলেটিকে জঙ্গলের গাছপালা, ফুল ও ফল, নানারকমের কীটপতঙ্গের জগতের মাঝে তাকে আহ্বান জানিয়েছিল। সে আরও বলেছিল এদের মাঝে থেকে গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত ও বসন্ত ঋতু কাটাতে, তাহলেই জগৎকে জানা যাবে। তাই লেখক তথা আগন্তক ছেলেটিকে সে অনুরোধ জানিয়েছিল যে, সে যেন আর দেশে ফিরে না যায়।
১০. ঘটনার পাশাপাশি কারণ উল্লেখ করো :
কারণ
(১) আমাজনের নৌকো উৎসবে জলে ভেসে থাকা নৌকোয় গান-বাজনা চলছিল।
(২) মিনিট দুয়েকের মধ্যেই কাছে দূরে সবকটা নৌকার গান বাজনা থেমে গেল, নদীর মাঝখানে এক অদ্ভুত স্তব্ধতার পরিবেশ তৈরি হল।
(৩) নৌকোয় গান বাজনা থেমে যাওয়া মানে বোতোর দেখা পাওয়ার কথা সবাই জেনে যায়, তখন কোনো নৌকো থেকে বোতোর দেখা পাওয়ার সুখবর ছড়িয়ে পড়ে।
(৪) উবা বক্তা ছেলেটির চোখের মধ্যে দিয়ে বহু দূরের কিছু দেখার চেষ্টা করে।
(৫) ভ্যান রিকশায় গাদাগাদি করে ছোটো ছেলেমেয়েরা স্কুলে যাচ্ছে এই ছবিটার মানে উবা বুঝতে পারেনি। সে আমাজনের জঙ্গলে থাকায় স্কুল সম্পর্কে তার কোনো ধারণা ছিল না।
ঘটনা
(১) সামনের নৌকো থেকে ভারি সুরেলা বাজনা ভেসে আসছিল।
(২) উবার ফিশফিশ গলায় শুনতে পেলাম
বোতো! বোতো!
(৩) সকলেই গান বাজনা থামিয়ে যতটা সম্ভব নিঃশব্দে চারদিক থেকে গোল হয়ে প্রথম নৌকোটার কাছে ফিরে আসতে থাকে।
(৪) জঙ্গলে ঘুরতে ঘুরতে উবা একেক দিন হঠাৎই হাঁটু গেড়ে মাটিতে বসে পড়ে।
(৫) আরও কয়েকটি ছবি এঁকে যতটা সম্ভব স্কুলের বিষয়ে বললাম।
পাঠ মূল্যায়নের জন্য অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১. লেখকের সামনের নৌকা থেকে কী ভেসে আসছিল?
উঃ। লেখকের একেবারে সামনের নৌকা থেকে সুরেলা বাজনা ভেসে আসছিল।