চিরদিনের কবিতার প্রশ্ন উত্তর Study Learn
চিরদিনের
সুকান্ত ভট্টাচার্য
চিরদিনের কবিতার প্রশ্ন উত্তর এখানে চিরদিনের কবিতার উৎস বিষয়বস্তু নামকরণ অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হয়েছে।
উৎস
‘চিরদিনের’ কবিতাটি কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘ঘুম নেই’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
চিরদিনের কবিতার বিষয়বস্তু:
বিষয়সংক্ষেপ
‘চিরদিনের’ কবিতায় কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য পল্লিবাংলার প্রকৃতিচিত্রের পাশাপাশি গ্রামীণ মানুষের জীবনসংগ্রামের কথা তুলে ধরেছেন। এ প্রসঙ্গে এসেছে গ্রামীণ মানুষের জীবনযাত্রা এবং দুর্ভিক্ষের অভিশাপমুক্ত হয়ে কীভাবে তারা জীবনযুদ্ধে সামিল হয় সেসব কথা।
কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য এই বাংলায় জন্মগ্রহণ করেছেন। তাঁর সঙ্গে বঙ্গপ্রকৃতির সম্পর্ক সুনিবিড়। তাই কবির চিরন্তন হৃদয়ে বঙ্গপ্রকৃতির স্নাত ধারা প্রবাহিত। আলোচ্য কবিতায় কবি কৃষক অধ্যুষিত গ্রামের কথা তুলে ধরেছেন। এখানে মানুষের কোনো ব্যস্ততা নেই।
বৃষ্টিমুখর গ্রামটি যেন লজ্জাবনত। এখানে হাঁটার জন্য নির্দিষ্ট পথ নেই, সবুজ মাঠই মানুষকে পথ চিনিয়ে দেয়। জোড়াদিঘির পাড়ে তালের সারি আর বাঁশঝাড়ের নিভৃত আত্মদান কবিহৃদয়ে শিহরণ জাগায়। পচা জল আর মশার অত্যাচারে
গ্রামগুলি রোগজর্জর, নীরব।
বর্ষায় মরা নদীতে জলের ধারা, মানুষকে বিপদসংকেত দেয়, তবু আবার এ গ্রাম জেগে ওঠে। সবুজ ফসলের ঘাগরা পরে এ গ্রাম যেন সেজে ওঠে। এখানে কৃষক-বধুরা ব্যস্ত ঘরকন্নার কাজে। সকাল ঘোষিত হয় পাখির কলকাকলিতে। সারাটা দুপুর চাষির কানে হরেকরকমের ধ্বনি ভেসে আসে। সবুজ ফসলের ধূমে মাঠে যেন ‘সুবর্ণ যুগ’ নেমে আসে ।
গ্রাম্য প্রকৃতির পাশাপাশি আলোচ্য কবিতায় কৃষিজীবী মানুষের অবিরাম কর্মমুখরতার কথা আছে। দুর্ভিক্ষের অভিশাপে মানুষ খাদ্যের অভাবে দিশাহারা—যা শুনলে আঁতকে উঠতে হয় ।
কিন্তু দুর্ভিক্ষকবলিত বাংলার চাষিরা আবার সবুজ ফসল ফলিয়ে মানুষকে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখায়। এদের সঙ্গে আবার যুক্ত হয় কামার, কুমোর, তাঁতি ও অন্যান্যদের কর্মপ্রচেষ্টা। সবাই মিলে সমস্ত দুঃখকষ্ট জয় করে আবার সামনের দিকে এগিয়ে চলে।
চিরদিনের কবিতার নামকরণ
কখনো-কখনো সমাজ ও সভ্যতার গতি স্তব্ধ হয়ে যায় তবুও মানুষের অক্লান্ত কর্মপ্রচেষ্টা এবং দুর্বার প্রাণশক্তিতে তা আবার পূর্বের গতি ফিরে পায়। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য মানুষের নিরন্তর চলাকেই তাঁর ‘চিরদিনের’ কবিতার মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন। বাংলার গ্রাম্য জীবন ও নিসর্গ প্রকৃতি কবিহৃদয়কে আন্দোলিত করে।
তার চিরন্তন সত্তায় চিরদিনের জন্য জেগে থাকে, মুছে না যাওয়া মানুষের ইতিকথা। দুর্ভিক্ষ, মহামারি, অনাহারকবলিত গ্রামে, অকালের দিনে দেশান্তরী হওয়া মানুষের কাহিনি ঠাকুমা তার নাতনিকে শুনিয়ে চলে। কিন্তু এসব কিছুর মধ্যেও আশা চিরদিন বাঁচিয়ে রাখে মানুষকে। সেই আশার জোরেই উঠে দাঁড়ায় ভেঙেপড়া মানুষ।
চাষি-কামার-কুমোর-তাঁতি সকলে আবার নতুন কর্মদ্যোমে মেতে ওঠে। ঘরে ঘরে দীপ জ্বলে ওঠে এবং সন্ধ্যাকে স্বাগত জানাতে চারদিকে মঙ্গলশঙ্খ বেজে ওঠে। বটতলায় সান্ধ্যকালীন জমায়েত জড়ো হয়। গ্রামবাংলার এই চিরকালীন ছবি কবিহৃদয়ে ছাপ ফেলে যায়। তাই কবিতার নাম ‘চিরদিনের’ হওয়া সার্থক।
চিরদিনের কবিতার অনুশীলনী:
প্রশ্নোত্তর বিভাগ
হাতেকলমে
নীচের শব্দগুলির অন্তত দুটি অর্থ লেখো এবং দুটি পৃথক বাক্যে প্রয়োগ করো : কাঁটা, তাল, জোড়া, সারি, মজা, পাশ।
শব্দ — কাঁটা
বাক্য: গাছের অঙ্গ/কণ্টক—গোলাপ ফুল ছিঁড়তে গেলে কাঁটার আঘাত লাগতে পারে।
প্রতিবন্ধকতা/শত্রু—তুমি আমার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িও না।
শব্দ — তাল
বাক্য – সুর—এমন করে তাল দিচ্ছ মনে হচ্ছে তুমিই শিল্পী।
ফলজাতীয়-তালের বড়া খুব লোভনীয় খাবার।
শব্দ – জোড়
বাক্য — সংযোগ—গোরুর খুর ঘোড়ার খুরের মতো জোড়া নয় ৷
দুটি—জোড়া বেঁধে কোথায় যাচ্ছ ?
শব্দ — সারি
সার—তালগাছগুলি সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে।
পংক্তি —কবিতাটির সারিগুলি ছোটো ছোটো।
শব্দ – মজা
বাক্য — আনন্দ পাওয়া–বড়োদের নিয়ে মজা করা উচিত নয়। বুজে যাওয়া মজা পুকুরে জল থাকে না । উত্তীর্ণ হওয়া – রমেন এবার মাধ্যমিক পাশ করেছে। –
শব্দ -পাশ
বাক্য – নিকট, প্রান্ত – আমাদের বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে ভাগীরথী বয়ে চলেছে।
২. সেই নীচের শব্দযুগলের অর্থ পার্থক্য নির্দেশ করে দুটি আলাদা বাক্য তৈরি করো : কাঁটা/কাটা, পার/পাড়, জড়ো/জড়, সব/শব, দীপ/দ্বীপ।
উত্তর
কাঁটা–(কণ্টক) বেল গাছের কাঁটা খুব বড়ো হয়।
কাটা—(দ্বিখণ্ডিত) এত বলা সত্ত্বেও লোকটি গাছ কাটা বন্ধ করল না।
পাড়–(তট/তীর) নদীর পাড়-এর মাটি খুব উর্বর হয়।
পার—(পরিত্রাণ/উদ্ধার) কন্যাদায় থেকে পার পাওয়া গেল ৷
জড়ো—(একত্র করা)। লোকটি আমগুলি একজায়গায় জড়ো করল।
জড়—(অচেতন পদার্থ) জুড়পদার্থের প্রয়োজনীয়তা মানুষের জীবনে থাকে ৷
সব—(সমস্ত ) সব কিছু কী করে এমন মিথ্যে হয়ে গেল।
শৰ—(মৃতদেহ) মৃত্যুর পর মানুষের জীবনের বড়ো পরিচয় সে একটা শব ।
দীপ—(প্রদীপ) বাংলার গ্রাম্য বধূরা সন্ধ্যাবেলায় দীপ জ্বালায় ।
দ্বীপ—(চারদিক জলবেষ্টিত ভূখণ্ড) দ্বীপের মাটিতে কিছু কিছু ফসল ভালো হয় ৷
৩. বে ঠিক বানানটি বেছে নাও : ব্যাস্ত/ব্যস্ত, সান্ধ্য/সান্ধ, দূর্ভিক্ষ/দুর্ভিক্ষ, বধু/বধূ, ধ্বনি/ধনি, সুবর্ণ/সুবর্ন।
উত্তর:
ব্যাস্ত/ব্যস্ত —ব্যস্ত।
দূর্ভিক্ষ/দুর্ভিক্ষ —দুর্ভিক্ষ।
সুবর্ণ/সুবর্ন। —সুবর্ণ।
সান্ধ্য/সান্ধ -সান্ধ্য ।
ধ্বনি/ধনি —ধ্বনি।
বধু/বধূ —বধূ।
৪ নীচের শব্দগুলির কোনটি বিশেষ্য এবং কোনটি বিশেষণ বাছাই করে আলাদা দুটি স্তম্ভে সাজাও। এরপর বিশেষ্যগুলির বিশেষণের রূপ এবং বিশেষণগুলির বিশেষ্যের রূপ লেখো : লাজুক, ব্যস্ত, মাঠ, সন্ধ্যা, গ্রাম, ঘর, ঘোষিত, চাষি, জল, ফসল ।
উওর:-
বিশেষ্য। বিশেষণ
লজ্জা লাজুক
মাঠ। মেঠো
সন্ধ্যা। সান্ধ্য
গ্রাম গ্রাম্য/ গ্রামীন
ঘর। ঘরোয়া
ঘোষণা। ঘোষিত
চাষী। চাষিতুল্য।
জল জলীয়
ফসল ফসলি
৫ বিপরীতার্থক শব্দ লেখো : মুখর, অহংকারী, অন্ধকার, একটানা, বিচিত্র।
উত্তর
মুখর—মৌন/চুপচাপ
অহংকারী—নিরহংকারী ।
একটানা—সাময়িক।
বিচিত্র—একঘেয়ে।
অন্ধকার—আলো ।
৬. ‘ঘড়ির কাঁটা এখানে ‘ঘড়ি আর ‘কাঁটা”, এই দুটি শব্দের মধ্যে সম্বন্ধ তৈরি করেছে‘র বিভক্তিটি, ‘ঘড়ির কাঁটা-কে আমরা তাই বলবো সম্বন্ধপদ। এই কবিতায় এইরকম আরও ক’টি উদাহরণ খুঁজে পাচ্ছো, লেখো। একটি করে দেওয়া হল— তালের সারি।
উত্তর:- আত্মদানের সাড়া, দুর্ভিক্ষের আঁচল, গ্রামের লোক, দাওয়ার অন্ধকারে, পাখির গান, ক্ষেতের চাষি।
৭. সন্ধি বিচ্ছেদ করো : বৃষ্টি,অহংকার,স্বাগত,পরস্পর, দুর্ভিক্ষ।
উত্তর
বৃষ্টি = বৃষ্ + + তি। স্বাগত = সু + আগত ৷ দুর্ভিক্ষ = দুঃ + ভিক্ষ। অহংকার = অহম্ + কার । পরস্পর = পর + পর।
৮. বাক্য বাড়াও।
[৮১] চলে গেল লোক। (কখন? কেন? কোথায় ?) উত্তর :- গতবারের আকালের দিনে দিশাহারা হয়ে চলে গেল লোক দিকে দিকে।
. ৮.২ আজ বিদ্রোহ বুঝি করে। (কে? কখন?) উত্তর:- মজা নদী বর্ষায় আজ বিদ্রোহ বুঝি করে।
৮.৩ ঘোমটা তুলে দেখে নেয় কোনোমতে। (কে? কী ? কোথায় ?) উত্তর:- কৃষক-বধূ জল আনবার পথে সবুজ ফসল ভরা সুবর্ণ যুগের আগমন ঘোমটা তুলে দেখে নেয় কোনোমতে ।
৮.8 এ গ্রাম সবুজ ঘাগরা পরে। (কেমন ? কীসের ? ) উত্তর : এ গ্রাম ঘাসের তৈরি নতুন সবুজ ঘাগরা পরে ।
৮. দীপ জ্বলে। (কোথায় ? কখন?)
উত্তর :- প্রত্যেক সন্ধ্যায় ঘরে ঘরে দীপ জ্বলে ওঠে।
চিরদিনের কবিতার প্রশ্ন উত্তর: একটি বাক্যে উত্তর দাও
৯. একটি বাক্যে উত্তর দাও :চিরদিনের কবিতার
৯.১ ব্যস্ত ঘড়ির কাঁটা কোথায় গিয়ে থেমে গেছে ?
উত্তর:- ব্যস্ত ঘড়ির কাঁটা বৃষ্টিমুখর লাজুক গ্রামে এসে থেমে গেছে।
৯. ২ তালের সারি কোথায় রয়েছে?
উত্তর:+ জোড়াদিঘির পাড়ে তালের সারি আছে।
৯.৩ কিষাণপাড়া নীরব কেন ?
উত্তর:- পচা জল ও মশার অত্যাচারে কিষাণপাড়া নীরব ।
৯.৪] বর্ষায় কে বিদ্রোহ করে ?
উত্তর:- গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মজা নদী বর্ষার জলে ফুলেফেঁপে উঠে বিদ্রোহ করে ।
[ ৯.৫ কে গোয়ালে ইশারা পাঠায় ?
উত্তর:- সবুজ ঘাস গোয়ালে ইশারা পাঠায়।
৯.৬ রাত্রিকে কীভাবে স্বাগত জানানো হয় ?
উওর:-সন্ধ্যায় শাঁখ বাজিয়ে রাত্রিকে স্বাগত জানানো হয় ৷
৯.৭ কোথায় জনমত গড়ে ওঠে ?
উত্তর:- সন্ধ্যায় বুড়ো বটতলায় জনমত গড়ে
৯.৮ ঠাকুমা কাকে, কখন গল্প শোনান ?
ওঠে।
উত্তর:- রাত্রি হলেই দাওয়ার অন্ধকারে ঠাকুমা তার নাতনিকে গল্প শোনান ৷
৯.৯ কোন্ গল্প তিনি বলেন ?
উওর:- ঠাকুমা নাতনিকে এই গল্প শোনান যে, কীভাবে গতবারের আকালে মানুষগুলি দিশাহারা হয়ে দিকে দিকে চলে গিয়েছিল।
৯.১০ সকালের আগমন কীভাবে ঘোষিত হয় ?
উওর:- কিষাণপাড়ায় সকালের আগমন ঘোষিত হয় পাখির গানে, কামার, কুমোর, তাঁতির কর্মমুখর জীবনযাত্রায়।
৯.১১কবিতায় কোন্ কোন্ জীবিকার মানুষের কথা আছে ?
উত্তর:- কবিতায় কামার, কুমোর, তাঁতি ও কৃষিজীবী মানুষের কথা . বলা হয়েছে।
১০. আট-দশটি বাক্যে উত্তর দাও : চিরদিনের কবিতার
১০.১ এই কবিতায় বাংলার পল্লিপ্রকৃতির যে বর্ণনা আছে, তা নিজের ভাষায় লেখো।
উওর:- ‘চিরদিনের’ কবিতায় কিশোর কবি সুকান্ত তাঁর হৃদয়ে পল্লিবাংলার প্রকৃতির স্পর্শ অনুভব করেছেন। তাঁর উপলব্ধিতে স্বভাবতই উঠে এসেছে বাংলার চিরনতুন, চিরসবুজ গ্রাম্য প্রকৃতির দৃশ্য। এই গ্রামগুলি বৃষ্টিমুখরিত।
তারা শহুরে মানুষের মতো ব্যস্ততা দেখায় না, এখানে হাঁটার নির্দিষ্ট কোনো পথ হয় না, যেখান দিয়ে হাঁটা সম্ভব সেটাই পথ । বাঁশঝাড়, জোড়াদিঘি, তালের সারি গ্রামগুলিকে অলংকারের মতো সাজিয়ে রাখে। এখানে মজা নদী বর্ষার জলে ভয়ংকররূপ ধারণ করে, গ্রামগুলি যেন সবুজ ঘাগরা পরে সেজে থাকে সবসময়।
বুড়ো বটতলা যেন মানুষকে ডাকে তার ছত্রছায়ায়। বাংলার এই গ্রামগুলির সকাল ঘোষিত হয় পাখির গানে। চাষির কানে ভেসে আসে বিচিত্র সুর। কৃষক-বধু খুলে দেখে নেয় সবুজ ফসলের ধুম। তারা অবাক হয়ে নতুন ফসলের সুবর্ণ যুগের স্বপ্ন দ্যাখে ।
১০. কবিতাটিতে গ্রামীণ মানুষের জীবনযাপনের যে ছবিটি পাও, তা নিজের ভাষায় বর্ণনা করো।
উত্তর :- কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘চিরদিনের’ কবিতায় গ্রামীণ মানুষের জীবনযাপনের নিখুঁত চিত্র ফুটে উঠেছে। আলোচ্য কবিতায় মূলত কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষ অর্থাৎ কৃষকদের জীবনযাপনের সঙ্গে সঙ্গে কামার, কুমোর, তাঁতিসমাজের জীবনসংগ্রামের কথা উল্লিখিত হয়েছে।
গ্রামীণ কৃষিজীবী মানুষের কর্মধারা নিরন্তর চলেছে “ওরা চিরকাল/টানে দাঁড়, ধরে থাকে হাল,/ওরা মাঠে মাঠে/বীজ বোনে, পাকা ধান কাটে।” তারা অত্যন্ত গরিব। পচা জল আর মশার কামড় তাদের নিত্যসঙ্গী। কৃষিকাজের সঙ্গে সঙ্গে তাদের গবাদি পশুপালন করতে হয়। কারণ চাষের সঙ্গে লাঙল, হাল, বলদ প্রভৃতি বিষয়গুলি জড়িয়ে আছে। কৃষকরা মাঠে ফসল ফলায়।
ফসল ফলানোর জন্য তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়। কখনো-কখনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ তাদের ফসল-ফলাদি নষ্ট করে। তবু তারা আবার নতুন উদ্যম নিয়ে উৎপাদনে লেগে পড়ে। ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে বাংলার বুকে নেমে আসে ভয়ংকর দুর্ভিক্ষ। প্রচুর মানুষ দিশাহারা হয়ে চারদিকে ছোটে একমুঠো ভাতের জন্য। কোনোরকমে তারা বেঁচে থাকে। তারপর আবার নতুন আশা বুকে নিয়ে সোনার ফসল ফলাতে শুরু করে।
বাংলার কৃষক-বধূরা যেন বঙ্গমাতার আর-এক রূপ। তারাও কঠিন পরিশ্রম করে ঢেঁকিতে ধান ভানে, ঘরকন্নার কাজ করে, সন্ধ্যাবেলায় প্রদীপ জ্বালায়, গোরুবাছুর পালন করে ।
কৃষকরা ছাড়াও পল্লিবাংলায় আরও নানান পেশার মানুষ বসবাস করে। যেমন—কামার, কুমোর, তাঁতি প্রভৃতি সম্প্রদায়ের মানুষ। কামারেরা দা, কাঁচি, কোদাল ইত্যাদি চাষের প্রয়োজনীয় জিনিস তৈরি করে; কুমোর মাটি দিয়ে নানারকম জিনিস তৈরি করে আর তাঁতি কাপড় বুনে মানুষের লজ্জা নিবারণে সাহায্য করে। এভাবে গ্রামীণ মানুষেরা কঠোর পরিশ্রম করে বেঁচে থাকে।
১০.৩ আকাল ও দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষাপটে মানুষের সম্মিলিত শ্রম আর জীবনীশক্তি কীভাবে বিজয়ী হয়েছে, কবিতাটি অবলম্বনে তা বুঝিয়ে দাও ৷
উত্তর:- জীবনীশক্তি হল ব্যর্থতার হতাশা দূরে ঠেলে জীবনকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করার শক্তি। কিছু মানুষ আছে যারা কোনো কাজে ব্যর্থ হলে তা পুনরায় চেষ্টা করে না। তারা জীবনসংগ্রামে পরাজিত হয়। কিন্তু বাংলার সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ জীবনীশক্তিতে বলীয়ান। তারা কোনো বাধাকে বাধা মনে করে না। কারণ তারা মনে করে থেমে গেলে জীবনও থেমে যাবে।
১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের দুর্ভিক্ষ এক চূড়ান্ত অভিশাপ হিসেবে নেমে আসে বাংলার জনজীবনে। এ দুর্ভিক্ষ ছিল অনেকটাই মনুষ্যসৃষ্টি। কিছু মুনাফালোভী মানুষ নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ফসল, খাদ্যসামগ্রী তাদের নিজেদের দখলে রাখে ফলে খাদ্যসামগ্রীর অভাব সৃষ্টি হয়, অর্থের বিনিময়েও খাদ্যবস্তু মেলা দুষ্কর হয়ে ওঠে।
এই দুর্ভিক্ষে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বাংলার শ্রমজীবী সাধারণ মানুষ। প্রচুর মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যায় । কিন্তু এতসব সত্ত্বেও তারা থেমে থাকেনি, পুনরায় জীবনীশক্তিতে ক্লীয়ান হয়ে উৎপাদনের কাজে নিয়োজিত হয়েছে।
বাংলার শ্রমজীবী মানুষের অধিকাংশই কৃষক, কামার, কুমোর, তাঁতি সম্প্রদায়ের মানুষ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ নিয়োজিত থাকে কৃষিকাজে। ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের দুর্ভিক্ষে বাংলার কৃষিব্যবস্থা একেবারে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।
এরকম অবস্থায় বাংলার চাষিরা আবার জলে ভিজে, রোদে পুড়ে সবুজ ফসল ফলাতে শুরু করে। বাংলার কৃষিতে ‘সুবর্ণ যুগ’ সূচিত হয়। এভাবে কৃষকের সঙ্গে অন্যান্য জীবিকার সব মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তারা জীবনযুদ্ধে বিজয়ী হয় ।
[10.4 “কোনো বিশেষ সময়ের নয়, বরং আবহমান কালের বাংলাদেশ তার প্রকৃতি ও মানুষকে নিয়ে জীবনের যে জয়গান গেয়ে চলেছে, এই কবিতায় তারই প্রকাশ দেখতে পাই।”——উপরের উদ্ধৃতিটির সাপেক্ষে কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করো ।
উত্তর :- কবি সুকান্ত মূলত শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কবিতাকে তার মাধ্যম করেছেন। মানুষকে তিনি উপেক্ষিত অত্যাচারিত হতে দেখেছেন। রুঢ় বাস্তবের মাটিতে প্রকৃতি তার কাছে সৌন্দর্যময়ী নয়। এই কারণে তিনি অন্য একটি কবিতায় বলেছেন—“ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি”।
এরকম স্বভাবের একজন কবি তাঁর ‘চিরদিনের’ কবিতায় বাংলার অপরূপ প্রকৃতির সৌন্দর্য বর্ণনা করেছেন। তার সঙ্গে আবহমান কালের শ্রমজীবী মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রামের কথা বলেছেন। বাংলার প্রকৃতি ও মানুষ যেন একসূত্রে গাঁথা। এখানে কৃষকেরা ফসল ফলায়, কৃষকবধূ তাদের সাহায্য করে ।
তার সঙ্গে আছে সন্তানসন্ততি প্রতিপালনের দায়িত্ব। শুধু কৃষকরা নয় গ্রামের অন্য পেশার মানুষরাও সহজসরল জীবনযাপন করে। শতকষ্টেও বাংলার সাধারণ মানুষ নিজেদের সজীব রাখে। ব্যর্থতা, হতাশা, তাদের চলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ালেও তারা থেমে থাকে না, প্রবহমান জীবনছন্দে তাদের দিনগুলি অতিবাহিত হয়। সাধারণ মানুষের এই চলমানতা কবিহৃদয়কে তাড়িত করেছে।
তা ছাড়া বঙ্গমাতার অপরূপ রূপসৌন্দর্যে কবি অভিভূত। চারদিকে সবুজের সমারোহ; পাখির কলতান, নদী-পুকুর-খাল-বিলে পরিপূর্ণ বাংলার চিরন্তন শোভা কবিহৃদয়ে চিরদিনের মতো স্মৃতিচিহ্ন এঁকে দিয়েছে।
বাংলার আবহমান কালের মানুষের জীবনধারা, অপরূপ প্রকৃতি কবি চিরদিন হৃদয়ে বহন করে নিয়ে চলেন। তাই কবিতার নামকরণ ‘চিরদিনের’ সুন্দর ও সার্থক হয়েছে।
চিরদিনের কবিতার ব্যাখ্যা মূলক প্রশ্ন উত্তর:
১১.ব্যাখ্যা করো : চিরদিনের কবিতার
১১.১“এখানে বৃষ্টিমুখর … ঘড়ির কাঁটা।” উত্তর :- উদ্ধৃত অংশটি কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘চিরদিনের’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
ব্যাখ্যা : আলোচ্য অংশটিতে কবি গ্রামবাংলার প্রকৃতিকে তুলে ধরেছেন। বর্ষাকালে পল্লিবাংলার গ্রামকে দেখে মনে হয়। লজ্জায় যেন নিজেকে লুকিয়ে রেখেছে। এখানে কোনো ব্যস্ততা নেই। গ্রামের মানুষেরা শহুরে লোকের মতো ঘড়ি ধরে কাজ করে। না। তাদের অফুরন্ত সময় প্রবহমান কর্মচাঞ্চল্যে নিয়োজিত থাকে। তাই ঘড়ির কাঁটা এখানে যেন থমকে যায়।
১১.২ “এ গ্রামের পাশে . . বিদ্রোহ বুঝি করে।”
উত্তর :- উদ্ধৃত অংশটি কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের চিরদিনের কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
ব্যাখ্যা : বর্ষায় বাংলাদেশের রূপবর্ণনা প্রসঙ্গে আলোচ্য অংশটি উত্থাপিত হয়েছে। বাংলাদেশে বর্ষা আসে বীরের মতো, মজে যাওয়া নদীনালা-খালবিল-বর্ষার জলে টইটুম্বুর হয়ে ওঠে। তখন নদীর জল পাড় উপচে গ্রামকে ভাসিয়ে দেবে মনে হয়। নদী ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। অর্থাৎ সে যেন বিদ্রোহ ঘোষণা করে। আলোচ্য অংশে বঙ্গপ্রকৃতির রূপের একটি বিশেষ দিক প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে অফুরন্ত প্রাণশক্তিতে ভরপুর গ্রামের মানুষদের জীবনী শক্তি আর শ্রমকে সম্মান জানানো হয়েছে।
১১.৩ “দুর্ভিক্ষের আঁচল কাজ করে।”
উত্তর উদ্ধৃত অংশটি কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘চিরদিনের’কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
ব্যাখ্যা : শস্যশ্যামলা এই বাংলা ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে ভয়ংকর দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে। গ্রামের কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষ দুর্ভিক্ষের কারণে দিশেহারা হয়ে খাদ্যের সন্ধানে ছুটে যায়। কিন্তু কথায় আছে, অন্ধকারের পাশে যেমন আলো থাকে, তেমনি দুর্ভিক্ষের অবসানে তার দুঃখযন্ত্রণাকে আঁচলের মতো শরীরে জড়িয়ে নিয়ে আবার সেই গ্রামের মানুষগুলি নিয়ত কাজের আনন্দে ডুবে যায়। তাই আলোচ্য অংশে গ্রামবাংলার মানুষের দুঃসময়ের ছবি যেমন প্রকাশ পেয়েছে, তেমনি তা থেকে বেরিয়ে আসার পথে পাড়ি দিয়ে সংগ্রামী মানুষের জয়গানও গীত হয়েছে।
১১.৪ “সারাটা দুপুর…… বিচিত্র ধ্বনি ওঠে।”
উদ্ধৃত অংশটি ছবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘চিরদিনের’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
উপলব্ধি করে বাংলার প্রকৃতির ডাক, যেখানে পাখির গান, বিচিত্র ব্যাখ্যা : বাংলার চাষিরা এই বঙ্গমাতার সন্তান। তারা মর্মে মর্মে পশুর ডাক, দূরে কোথাও কৃষকের হাঁকডাক; আরও নানা শব্দ সবসময় চলতে থাকে। এই বিচিত্র ধ্বনি আসলে কর্মমুখরতার প্রতীক। মেহনতী মানুষ তাদের কর্মের মধ্য দিয়েই বিগত সময়ের দুর্ভিক্ষের ভয়াবহতাকে কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়। আলোচ্য অংশে প্রাণশক্তিতে ভরপুর কর্মচঞ্চলতার বিচিত্র ধ্বনি যেন সারাটা দুপুর শোনা যায় পল্লিবাংলাতে।
১১.৫ “সবুজ ফসলে সুবর্ণ যুগ আসে।”
|| উত্তর উদ্ধৃত অংশটি কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের “চিরদিনের’ কবি থেকে নেওয়া হয়েছে।
ব্যাখ্যা : ‘সুবর্ণ যুগ’ অর্থাৎ একটা বিশেষ সময়পর্বকে সোনার মতো মূল্যবান মনে করা হয়েছে। কবি আন্তরিকভাবে দুর্ভিক্ষকবলিত বাংলায় আবার সুদিন ফিরে আসুক প্রত্যাশা করেছেন। কবির এ প্রত্যাশা পুরণ হয়েছে।
মাঠে মাঠে সবুজ ফসল দুর্ভিক্ষকবলিত চাষির মুখে নতুন করে হাসি ফুটিয়েছে। তারা নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখেছে। সবুজ ফসল মানুষের অভাব মুছে দেবে। আলোচ্য অংশে কবির বিশ্বাস, নিরাশার অন্ধকারকে দূরে সরিয়ে সুদিনকে স্বাগত জানিয়ে বাংলায় সবুজের ‘সুবর্ণ যুগ’ নেমে আসবে।
১২. তোমার দেখা একটি গ্রামের কথা ডায়ারিতে লেখো। গ্রামটি কোথায়, সেখানে কোন্ কোন্ জীবিকার কতজন মানুষ থাকেন ইত্যাদি জানিয়ে গ্রামটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, মানুষজনের জীবনযাপন পদ্ধতি, বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধার কথা লেখো। গ্রামটির উন্নতিসাধনে যদি তোমার কোনো পরামর্শ দেওয়ার থাকে, অবশ্যই সে-কথা লিখবে।
২০ জানুয়ারি, বাকুড়া
আমার দেখা একটি গ্রাম নদিয়া জেলার ধুবুলিয়া থানার অন্তর্গত নওপাড়া আদর্শ কলোনি ।
এই গ্রামের লোকসংখ্যা প্রায় ৬০০ জন। হিন্দু ও মুসলিম পরস্পর ঐক্যবদ্ধভাবে এখানে বসবাস করেন। সাধারণত অধিকাংশ মানুষই দরিদ্র, শ্রমজীবী শ্রেণির। বেশ কিছু মানুষ কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত, আবার কিছু মানুষ কাঠের কাজ ও অন্যান্য কুটিরশিল্পের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।
গ্রামটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপরূপ। একদিকে কৃষ্ণনগরচাপড়ার পিচ রাস্তা, অপর তিনদিকে সবুজ ফসলের খেত। গ্রামের পশ্চিম পাশে গ্রামেরই একটি নিজস্ব খেলার মাঠ আছে, যেখানে গ্রামের কচিকাঁচারা খেলাধুলা করে। গ্রামে একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। গ্রামের মানুষদের কঠিন শারীরিক পরিশ্রম করে সংসার চালাতে হয় ৷
এই গ্রামের কিছু সমস্যা আছে। যেমন, অধিকাংশ বাচ্চারা বিদ্যালয়ে যায় না। উচ্চশিক্ষিত মানুষ নেই বললেই চলে। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কুসংস্কারাচ্ছন্ন। তা ছাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা পরিসেবা পাওয়া যায় না। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে শিক্ষার হার আরও কম ।
এই গ্রামের উন্নতির জন্য প্রথম যে কাজটি করা দরকার তা হল— সমস্ত বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো, চিকিৎসা পরিসেবার মাধ্যমে জীবিকা অর্জনের ব্যবস্থা করে দেওয়া, গ্রামে বিশুদ্ধ জলের পরিসেবা দেওয়া ইত্যাদি। তা ছাড়া স্বাস্থ্য-সচেতনতার জন্য নানা সচেতনতা-শিবির আয়োজন করা দরকার।
চিরদিনের কবিতার অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর:
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নোত্তর
সঠিক উত্তর নির্বাচন করো
প্রশ্ন ১.বাংলা সাহিত্যে কিশোর কবি (সুকান্ত ভট্টাচার্য/সুকুমার রায়/দ্বিজেন্দ্রলাল রায়)।
উওর:- সুকান্ত ভট্টাচার্য।
২. ‘চিরদিনের’ কবিতাটির কবি (নজরুল ইসলাম/সুকান্ত ভট্টাচার্য/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)।
উওর:- সুকান্ত ভট্টাচার্য।
৩. জোড়া দিঘির পাড়ে (বটের সারি/শটিবন/তালের সারি)।
উওর:- তালের সারি।
৪. নীরব এখানে অমর (কিষাণপাড়া/জেলে পাড়া/কুমোর পাড়া)।
উওর:- কিষাণ পাড়া।
৫. ‘বর্ষায় আজ বিদ্ৰোহ বুঝি করে’—এখানে কার বিদ্রোহ করার বলা হয়েছে(কিষাণের/জোড়া দিঘি/অহংকারী মশা/মজা নদী)।
উওর:- মজা নদী।
৬. ‘চিরদিনের’ কবিতায় যে সময়ের দুর্ভিক্ষের কথা এসেছে তা হল (১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দের/১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের/ ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের)।
উওর:- ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের।
৭. ঢেঁকিকে নাচায় পায়ে (ঠাকুমা/গ্রাম্যবধূ/কৃষকধূরা)।
উওর:- কৃষকবধূরা।
৮ ঠাকুমা গল্প শোনায় (শিশুদের/নাতনিকে / পাড়াপড়শিকে)।
উওর:- নাতনিকে।
৯. এখানে সকাল ঘোষিত হয় (পাখির গানে/ঝিঁঝির ডাকে/মেঘের ডাকে)। পাখির গানে।
উওর:- পাখির গানে।
১০ সুবর্ণ যুগ আসে (নীল আকাশে/সবুজ ফসলে/নব দিগন্তে)।
উওর:- ● সবুজ ফসলে